তোমার দৃষ্টির প্রতিটা অবহেলা আমার মনে আছে,
যেদিন তোমার মন আর শরীরের ভাষা
একে অপরকে ওলটপালট করে দিয়ে চলে গেছে,
সেদিন তোমায় চিনতে পারিনি আমি,
তবু কাছে পেয়েছি তোমায়।
অচেনা,
তবু ধরা দিয়েছি নদীর ঢেউয়ে।
গ্লানি ছিল না।
ছিল মেঘ রাগ, আর না বলা কথার স্তর।
বারান্দার রেলিংয়ে আটকে ছিল শুকনো,
ধুলোজমা
একটা ঘুড়ি।
যেদিন চলার পথের সুরটা গাইতে পারব, সেদিন মুক্তি।
আকাশে উড়ে যাবে, মেঘের ভিতর।
সুরটা যে আমি কেবল বলতে পারি, গাইতে পারি না।
বিস্তর একটা ফাঁক আমায় ঘিরে ধরে।
কথার জঙ্গলে হাতড়ে বেড়াই,
সুর কই, সুর?
শূন্যতা আর দূরত্বের মধ্যে যে আকর্ষণ ছিল,
অনেক দিন পর যখন দেখা হলো, ভয় হল।
পাছে সব হারিয়ে যায়, পাছে সব মিথ্যে হয়,
পাছে সুরের ভার টা হালকা হয়ে যায়,
দেখা হওয়ার পর যখন তুমি চলে গেলে,
মনে হলো সব সত্যি,
মনে হলো চলে যাওয়ার জন্যেই এসেছিলে তুমি,
চলে গেলে বলেই থেকে গেলে তুমি।
তুমি যতটা চলে যাও, তার চেয়েও যে বেশি ফিরে ফিরে আসো!
ছবি : ইন্দ্রদত্তা