শীতের শুরুর কয়েকটুকরো – স্বদেশ মিশ্র

গুঞ্জরণ

এমন এক গুনগুন লেগে আছে
প্রতি ছন্দে তার ভাষ্য বদলে যায়
প্রতি গন্ধে বাতাস
নির্ভারতার কাছে অবগাহনমূলক
আকাশ যায় খুলে,

আকাশ যা অনেকটা দেখা যায়
অনেকটা বাকী পড়ে থাকে

-প্রপাতের গান-

প্রাণের কাছে এসে আত্মিক হলে
স্পন্দন বলে ডেকে ফেলি
আর ঢেউ ওঠে
স্নায়বিক চলাচলেদের
তারুণ্যহাসি, ঢেকে ফেলি ক্ষত
হাওয়ামঞ্জরী জাগে,
অবর্ণ পাপড়ির কাছে যে চোখ
ভিজে যাওয়া বায়বীয়
বুকে বাজে প্রপাতের গান
কিছু কিছু নিরালম্ব বিজনপ্রয়াস
আর বীজধান বোনা মুখরিত
শব্দের পরে সশব্দ বিন্যাসে
স্তব্ধতায় সহজ হয় পাহাড় ও উচ্চতা…

-শীতের শুরুর কয়েকটুকরো-

দেখো তো কিছুটা রোদ গালে পড়ে কিনা, কিছুটা দু’চোখে, যতদূর ভাসমান বিন্দু দেখার অবসরমায়া রাখা থাকে পরম ওমের ওই করতলপ্রাণে,মোমবাতি জ্বেলে লুকোনো চিঠির ভাষ্যে দিগন্তগান যত্ন করে রেখো, ডুবে যেও যত কাছে যাবো, কত স্নানে পাবো বলো বিধুঘ্রাণ, কর্পূরব্যথা, উবে যদি যায়, হৃদয় রাখবো ফের নতজানু, এইতো সুযোগ, এই স্পেসে জীবনের স্বাদ জেনে, বিলীনতার শর্তটুকু, ক্রমে নির্ভার হলে, দারুণ মহোৎসব হবে তবে মেঘমরশুমে, দুপুর গড়িয়ে নেবে দীঘিজল নদী, পায়রা ওড়ানো কোনো মেহফিলমাসে ঠুংঠুং শব্দ হবে ঘরে, পশমে পশম লেগে, ত্বকে যদি শীত এসে ছোঁয়, দেখো তো কিছুটা রোদ গালে পড়ে কিনা…