ধর্ষক

যতবার যুদ্ধ বুকে, প্রেমকে খোঁজোনি,
হেসেছে ইতিহাস, তোমার পৌরুষ মানেনি।
মৃত্যুর দোহাই দাও, ধর্ম-জাতে
স্বভাবে ঘৃণাই খাও, অভাব ভাতের।
তুমি তো রক্ত ঘাটো ভাবাদর্শ বুঝে,
যে শেয়াল কাটে দেহ, সেও খাদ্য খোঁজে।
ভেবেছ, পুরুষ তাই দেশ ধর্ম আগে
মানুষী অশুচী, তাই ঘৃণা তার ভাগে।
যাকে কাটো, ভগ্নপ্রায় নারী বা পুরুষ,
শরীরে আলাদা শুধু, মননে মানুষ;
যে তুমি নারী দেহে শত ক্ষত আঁকতে পারো,
আছে দ্বেষ, ধর্ম দেশ নেই জেনো তোমারো।
যে পুরুষ পিতৃতন্ত্রে নীরব দর্শক
মুখোশে মানুষ সে, মননে ধর্ষক।
শেষ মহীরূহ

অন্তিম গাছটা;
অনন্ত মরুদ্যান রূখে দাঁড়িয়ে আছে ;
বুড়িয়েছে কবিতার শহর, প্রাচীন অরণ্য ফুরিয়েছে।
কবিতার আকাশেও মেঘ নেই, চড়ে শুধু ধোয়া;
শেষ কবিতারও তাই শেষ গাছে এই চিঠি দেওয়া।
হে মহীরূহ;
তোমার প্রশাখা জুড়ে যে প্রাণেরা বাসা বেধে ছিল,
তোমার ছায়ায় শুয়ে যে কবিরা রাত্রি জেগেছে,
তোমার শেকড় জুড়ে যে ধরণী প্রসবিনী হল
তাদের দোহাই তুমি থামাও এ অন্তর্জলী,
তাদের জন্য ফের কবিতাকে ভরো গাছে গাছে!
এ পৃথিবী কবিতার, সবুজের, মানুষ তো অনুজীবী,
অপত্য, অপক্ক মনে, বীজ বোনে শুধু ক্ষমতার।
তুমি তো আকাশমনা, বাৎসল্যে মেনে নাও সবই ,
ওরা বোঝেনি শেষের কথা, বৃক্ষ-কবিতা সমতার।
রুক্ষ কুঠারাঘাতে, এক একটা যুদ্ধ মেয়াদে,
কেড়েছে তোমার বন, পুড়িয়েছে নিজ নিজ গৃ্হ,
মানুষ পূর্ণতা পাক; ভালবাসা, প্রেম, অনুভবে;
শাসনে শুদ্ধ কর, বেঁচে ওঠো শেষ মহীরুহ ।