পুজো মানেই স্বচ্ছ নীলাকাশ
পুজো মানেই কাশের বনে দোলা,
পুজো মানেই ঢাকের বুকে কাঠি,
পুজো মানেই দু’চোখ ভরে দেখা।
যে যার মতো আমরাও যাই ভেসে
কখনও কখনও অন্য প্রান্ত দেশে
মধুর মিলন সকলে করি যে পার,
পূর্ণতাময় সেবা মাধুর্য দ্বার।
কিন্তু তুমি তলিয়ে যদি ভাবো,
দেখবে কত অশ্রু ঝরে পড়ে,
সহায়হীন মানুষ কাঁদছে ঐ,
পুজোর থেকে তাঁরা অনেক দূরে।
ক্লান্ত আর শ্রান্ত হয়ে তাঁরা
নুব্জ্য হয়ে শুকিয়ে গেছে ঠোঁট,
পুজো মানেই মণ্ডপময় ভোজ
সবার সঙ্গে ভরাট সুখের খোঁজ।
ইচ্ছা করে প্রতিবেশীরা সবাই
এ ভোজ থেকে তাঁদের দিকে তাকাই
তুলে দিই আজ ওঁদের মুখের গ্রাস,
কুঁচকে যাওয়া মুখের যত ভাঁজ
শুকিয়ে যাওয়া ভীত মনের হাত,
শূন্য যাঁদের থাকে অন্নপাত।
দুঃখ যাঁদের সুখের থেকে বেশি
আমরা তাঁদের একটু ভালোবাসি।
ভালোবাসার জন্য যাঁরা কাঁদে,
শহর গ্রামের নির্মল পরিবেশে।
পুজো মানেই নিশ্চিত উৎসব,
পুজো মানেই কিছু লোকের রুজি,
পুজো মানেই একটু বিচিত্রতা,
পুজো মানেই সুস্থ সংস্কৃতি।
জীবন তো ভাই ছোট্ট একটুখানি
স্বাক্ষর তাই কিছু রেখে যাই আমি,
চলার পথে মুক্তো খুঁজে আনি
তুমি আমি সকল বন্ধু জানি।
এজন্যই মানুষ হয়ে আসা
পবিত্রতায় বাঁধি মনের বাসা
তবেই হবে সার্থক এই পুজো
আনন্দ আর সেবার জন্য ছোটো।।
কবি পরিচিতি: পিয়ালী মিত্র একজন আবৃত্তিকার, শ্রদ্ধেয় মহিম ঘোষ এবং শ্রদ্ধেয় প্রদীপ ঘোষের ছাত্রী। তাঁর সময় কাটে আবৃত্তি, সংগীত এবং কবিতা লেখার মধ্যে দিয়ে। বেশ কিছু বছর ধরে তিনি সমাজ সেবার কাজের সঙ্গে যুক্ত।
Copyright © Kothabriksha 2020, All Rights Reserved.