Today I ask, what are youO maiden of my dreamsAn enchantress of hellOr an angel of heavens?For your beauty far surpassesThe beauty of a sunriseYour beauty, far superiorTo the majestic HimalayasYour hands soft and warmLike silk, your lips as soft asRoses freshly harvestedAnd so I ask what are youO maiden of my dreams. Being enchanted…
Category: Poetry
দুটি কবিতা – উপেক্ষিতা
(এক) মন,তোর ঠিকানা টা দিবি?যাবো একদিন তোর বাড়ি।বসতে দিস দু’দণ্ড,কথা দিলাম;জ্বালাবো না বেশিক্ষণ।কথা দিলাম;একটি বারের জন্যও জিজ্ঞাসা করবো না…কেমন আছিস মন?কষ্ট পাস আজও?জানি প্রশ্ন গুলো তোকে দুমড়ে দেয়।তাই চুপটি করে বসবো শুধু,তোর পাশে…দুটো মুহুর্তদিবি!ঠিকানাটা? (দুই) রাজপথের ধারের ভিখারীটাআজ হাত পাতেনি।ওর ভেতরের রাজাটা বুঝিআজ উঠে দাঁড়িয়েছে!রাজার মতো…জীর্ণ বস্ত্র ছেড়ে আজ তাইপরিধানে তার পট্ট বস্ত্র;চোখের ধূসর সরে…
দুটি কবিতা – রূপক বর্ধন রায়
ধর্ষক যতবার যুদ্ধ বুকে, প্রেমকে খোঁজোনি,হেসেছে ইতিহাস, তোমার পৌরুষ মানেনি।মৃত্যুর দোহাই দাও, ধর্ম-জাতেস্বভাবে ঘৃণাই খাও, অভাব ভাতের।তুমি তো রক্ত ঘাটো ভাবাদর্শ বুঝে,যে শেয়াল কাটে দেহ, সেও খাদ্য খোঁজে।ভেবেছ, পুরুষ তাই দেশ ধর্ম আগেমানুষী অশুচী, তাই ঘৃণা তার ভাগে।যাকে কাটো, ভগ্নপ্রায় নারী বা পুরুষ,শরীরে আলাদা শুধু, মননে মানুষ;যে তুমি নারী দেহে শত ক্ষত আঁকতে পারো,আছে দ্বেষ, ধর্ম দেশ নেই জেনো তোমারো।যে পুরুষ পিতৃতন্ত্রে নীরব দর্শকমুখোশে মানুষ সে, মননে ধর্ষক। শেষ মহীরূহ অন্তিম গাছটা; অনন্ত মরুদ্যান রূখে দাঁড়িয়ে আছে ;বুড়িয়েছে কবিতার শহর, প্রাচীন অরণ্য ফুরিয়েছে।কবিতার আকাশেও মেঘ নেই, চড়ে শুধু ধোয়া;শেষ কবিতারও তাই শেষ গাছে এই চিঠি দেওয়া। হে মহীরূহ;তোমার প্রশাখা জুড়ে যে প্রাণেরা বাসা বেধে ছিল,তোমার ছায়ায় শুয়ে যে কবিরা রাত্রি জেগেছে,তোমার শেকড় জুড়ে যে ধরণী প্রসবিনী হলতাদের দোহাই তুমি থামাও এ অন্তর্জলী,তাদের জন্য ফের কবিতাকে ভরো গাছে গাছে!এ পৃথিবী কবিতার, সবুজের, মানুষ তো অনুজীবী,অপত্য, অপক্ক মনে, বীজ বোনে শুধু ক্ষমতার।তুমি তো আকাশমনা, বাৎসল্যে মেনে নাও সবই ,ওরা বোঝেনি শেষের কথা, বৃক্ষ-কবিতা সমতার।রুক্ষ কুঠারাঘাতে, এক একটা যুদ্ধ মেয়াদে,কেড়েছে তোমার বন, পুড়িয়েছে নিজ নিজ গৃ্হ,মানুষ পূর্ণতা পাক; ভালবাসা, প্রেম, অনুভবে;শাসনে শুদ্ধ কর, বেঁচে ওঠো শেষ মহীরুহ ।
দুটি কবিতা – সৌরসেনী চক্রবর্তী
‘দেশের নাম ইউটোপিয়া’ পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তরে সবুজের অভিলাষ,আকাশে নীলে হঠাৎ শরতের ইউটোপিয়ান গল্প;জানলার শার্সির প্রতিবিম্বরাআয়নার কাকচক্ষুর মত স্বচ্ছ;চিমনির কয়লার গুঁড়োতাকে কালচে ছোপের অনুশোচনা মাখায়নি।সে হলও আজ অনেকদিন,তবু গরাদের অনুভূমিক আবছায়াঅনন্ত দুপুরের আলোয়নির্ঘুমের পাঁচালী আওড়ায়;গরাদের খাঁজে নেই কোনোঘর্মাক্ত আঙুলছাপ।ছাপ এখন শুধুই পড়ে পথে,হাজার হাজার চিহ্ন আঁকে পা,পড়ন্তবেলার সবুজের অভিলাষেকেবল ভেসে বেড়ায় ঘরে ফেরার ডাক;ঘরে ফিরতে হবে;রেললাইনের…
Words Unspoken – Teesha Roy
Don’t think for once that I am shedding tears for the immense pain I endured When there were blasts in my tummy. Don’t think for once that I am shedding tears for my unborn child When she asked me why she can never see the green forests and blue sky. Don’t think for once that…
মধ্যবিত্ত – আলফাজ
আজ বেঁচে আছি কাল কি আসবে ভোর?কার্ফু জারি এই মগজের পথে।দোষের মধ্যে আমি যে মধ্যবিত্তনিজের কথা বলতে পারিনা মোটে॥ পুঁজির মানে আমিও কি ছাই বুঝি!পকেট জুড়ে দ্বন্দ্বের সীমারেখা,আসলে আমি যে নিপাটই মধ্যবিত্ত!দশ ফুট ঘরে দিশাহীন স্তব্ধতা॥ প্রতিটা সময় এঁকে দেয় কত ঝড়।পুরু চশমায় মিশে থাকে সন্তাপ,দিনশেষে আমি একলা মধ্যবিত্ত!কান্না লিখছে অনন্ত সংলাপ॥ আজ বেঁচে আছি…
সভ্যতা – Sandipan Das
অর্থ যশের হাওয়ায় দোলে, আইনের দাঁড়িপাল্লাসুজন পড়ে আস্তাকুড়ে, কুজন গড়ে কেল্লা।কেল্লা তারই হয় ফতে, অর্থ রয় যার হাতেকাঙালের নেই ঘুম রাতে, বিছানা সেই ফুটপাতে।টাকার গরম গায়ে মেখে, উল্লাসে কারো শীত কাটেকেউ বা আবার পেটের দায়ে, শৈত রাতে সিঁধ কাটে।কেউ কাটে ধান রোদে পুড়ে বিস্তীর্ণ মাঠটাতেতখনই কেউ নিদ্রাদেশে হিমঘরের খাটটাতে।না মেনে হার এ সভ্যতার ইমারত যে…
ও চাঁদ – অমিত গুহ
বুকের কাছে থৈ থৈ করে জলঝড়ের হাওয়ায় উড়েছে ঘরবাড়ি,আমিনা তবুও চুল শুকোতে বসে,আমিনা তবুও ফ্যান চায় ভাঙা হাঁড়ি। আজি তো পরব, আজি তো উঠবে চাঁদ,চাঁদিনী রুপোয় ভরে যাবে গ্রাম জমি,আজি তো ছেলেটা দুমুঠো ভাত চায়অজি তো মেয়েটা জামা নেই পিঠ খালি। ত্রাণের ছাতুতে ইফতার সেরে নেবেআমিনা জানেনা কতো রাত আর বাকিগ্রাম ছেড়ে ওই পালিয়ে আসার…
কয়েকটি কবিতা-রূপক বর্ধন রয়
বান্ধবীমন স্বাধীন নামে ডাকতো সবাই,ডাকতো সবাই কালবোশেখী!যেদিন আমার আগুন যত যত্ন করে সাজিয়ে নিলি;সেদিন থেকে সবাই বলেএক বিকেলেই, কালবোশেখীর আনমনেতেই ঘরে ফেরা।সেদিন থেকে বুঝছে না কেউ;বুঝছে না, তোর বুকের ভীতর,আগুন জ্বরে,ছটফটিয়ে স্বপ্নশীখা বাড়ছে সারা শরীর জুড়ে! সবাই বলে;সময় হল;কালবোশেখীর ঘোর কেটেছে। মানবী তুই থামলি কেন? কেন ভাবিস ওসব কথা?ওসব মিছে কচকচানি।ওরা যা বলছে বলুক,আমি মানি…
নিভৃতবাসের লেখা – জয় নন্দী
সেই অর্থে বন্দীদশা আমার নেই-রোজই অফিস করছি, সপ্তাহশেষে বাড়ী ফিরছি- দিনলিপির তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তবে অফিসে স্বাভাবিক কারণেই ভিড়ভাট্টা কম- ভাবনাচিন্তার অফুরন্ত সময়।তারিখ মনে নেই, লেখার কারণগুলো যদিও বা স্পষ্ঠ। খাতার ফাঁকে ফাঁকে গুঁজে রাখা ছিল, খুলতেই সব হুড়মুড়িয়ে পড়ল। (১) চব্বিশ ঘন্টা ওই খ্যাপাটে মানুষটার সাথে- ঘরে ঘুরঘুর, বিছানায় চু-কিত-কিত অফিস…