কলমঞ্জিররঞ্জিনী – সম্পাদকীয়

যাও যাও গিরি আনিতে গৌরী, ঊমা বড় দুখে রয়েছেদেখেছি স্বপন নারদ বচন, ঊমা মা মা বলে কেঁদেছে.. সবাইকে বা সবকিছুকে নিজের মনের মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়া বাঙালীর চিরাচরিত স্বভাব। তার সবচেয়ে বড় নিদর্শন বোধহয় এই দেবী দুর্গাকে ঘরের মেয়ে করে নেওয়া। ত্রিনয়নী, দশভূজা, অসুর বিনাশিনী কোনও পূজ্য দেবী মূর্তিকে কাছে টেনে একেবারে অন্দরের সুখদুঃখের…

ভোকাট্টা – সম্পাদকীয়

“পেটকাটি চাঁদিয়াল মোমবাতি বগ্গা “…গানটা তো আমাদের সকলেরই খুব প্রিয় তবে এই শব্দগুলোর সাথে কি আমাদের সবার পরিচয় আছে ? নাম কি শুধু মানুষ গাছ বা পশুপাখিরই থাকবে ? না, একেবারেই না । নাম আছে আকাশে ওড়া ঘুড়িরও। হ্যাঁ একদম ঠিক,  এগুলো সবই ঘুড়ির নাম । এখন জেনে নেওয়া যাক এই ঘুড়ির উৎপত্তি কোথায় হয়েছিল!…

রাজধর্ম – সম্পাদকীয়

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় গত ৩১ আগস্ট গত হওয়ার পর, সমস্ত সংবাদমাধ্যম এবং সমস্ত সংবাদপত্রিকা-ই শ্রী মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে নানা কথা বলে এসেছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা, মিরিটির গ্রামের বাড়িতে তাঁর দুর্গাপুজোয় স্তোত্রপাঠ ইত্যাদি।কিন্তু, যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি প্রায় সকল সংবাদমাধ্যমই হালকা ভাবে বলে এড়িয়ে গেছেন, তা হল ভারতের রাষ্ট্রপতি…

ধরা যাক আজ রোববার – সম্পাদকীয়

রবিবার .. সানডে … সপ্তাহের এই একটা দিনের জন্য সমস্ত মানুষের কত অপেক্ষা, কত জল্পনা, কল্পনা। সারা সপ্তাহের কর্মক্লান্ত দিনগুলি পার করা যেন এই একটা দিনের দিকে তাকিয়েই। সকালে ওঠার তাড়া নেই, নেই ঘড়ির কাঁটার চোখ-রাঙানি, বসের মুখ দর্শনের থেকে গিন্নির মুখ-ঝামটাও যেন আজ বড় মধুর। এই একটা দিনই যে নিজের খেয়াল খুশিদের স্পর্ধা দেখানোর…

‘ওরা কেমন আছে?’ – সম্পাদকীয়

বিভিন্ন সুস্বাদু রান্না নিয়ে বিভিন্ন হেঁশেলের কথা তো আমরা জানি। আমাদের শহরেই রয়েছে বিভিন্ন নামিদামি রেস্তোরাঁ, যেখানে পেট ভরে বাঙালির ভুরিভোজের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সময়ের মতন এই হেঁশেল যুক্ত ভোজবিলাসের সময় যে আজ নয়, তা আমরা সকলেই অবগত। প্রতি মূহূর্তেই বাড়ছে করোনার থাবা। দেশ জুড়ে করোনা নিয়ে চলছে চরম সতর্কতা এবং রজু হচ্ছে লকডাউন।…

জনগণপথপরিচায়ক জয় হে – সম্পাদকীয়

জনগণ পথপরিচায়ক জয় হে  আমাদের জাতীয় সংগীত, আমাদের এক অমূল্য সম্পদ। এই কারণে নয়, যে কোনো এক Whatsapp Forward এ বলা হয়েছে যে আমাদের জাতীয় সংগীত পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জাতীয় সংগীতের সম্মান পেয়েছে, তা এই কারণে, আমাদের সংবিধানের পর এই আরেকটি গ্রন্থনা, যেখানে ভারতবর্ষের রূপ বা ” The Idea of India” প্রতিফলিত হয়। সেটা ঠিক কি…

অন্তরে ভুল ভাঙবে কি…?! – সম্পাদকীয়

‘অবান্তর’ পত্রিকার কর্ণধার চিরকুমার রে।না না উনি মোটেই চির কুমার নন ।আসলে হয়েছে কি, তাঁর বাবা ছিলেন রবীন্দ্র ভক্ত  মানুষ চিরকুমার সভা নাটকটি তিনি পড়ার পরই ছেলের জন্ম হওয়ায় তার নামকরন করেন  চিরকুমার।তবে নাটকে অতজন পুরুষ চরিত্রকে ছেড়ে দিয়ে  ছেলের এই নামটিই কেন রাখলেন তা বলতে পারব না।তাই এক জাঁদরেল গিন্নি ও ৩ ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঘোরতর সংসারী মানুষটি আজও নামে চিরকুমারই রয়ে গেছেন।এমনকি, সেই নাটকের মতো হুইস্কি,সোডা,মুরগি বা মটনের প্রতিও তাঁর একেবারে লোভ নেই।সে ওই যা একটু আছে তা হলো তাঁর তেলেভাজ প্রতি দুর্বলতা। এতেও হয়েছে চিত্তির।নামের আদ্যক্ষরের সাথে এই শখ মিলিয়ে তাঁর  অধস্তন কর্মচারীরা তাকে চিড়েভাজা বলে থাকেন।তা আজ তাঁর মেজাজটি বেজায় তিরিক্ষি হয়ে  রয়েছে।এই সপ্তাহের শেষে ‘সপ্তাহের হাবিজাবি’ ক্রোড়পত্রেছাপানোর মতো কোনো লেখা জোগাড় হয়নি।তারওপর তার আপিসের নতুন দুটি ফচকে ছোড়া  জুটেছে কোনও কাজই হয় না যাদের দিয়ে।সাত পাঁচ ভেবে ওই দুজনকেই তলব করলেন চিড়ে…থুড়ি চিরকুমার বাবু। প্রশ্ন পুরকায়স্থ আর সন্দেহ সরখেল। ‘অবান্তর’ পত্রিকার দুই তরুণ সাংবাদিক চিরকুমার বাবুর গালি খেয়ে বেরিয়েছে খবর সংগ্রহে।বাইশে শ্রাবনের বিশেষ সংখ্যা তাই একেবারে খোদ বিশ্বকবির বিশ্বভারতীতে হাজির।ভালো খবর না হলে চাকরি নট হওয়ার হুমকি  কপালে ঝুলছে যে।এধার ওধার ঘুরে,উদয়ন ছাড়িয়ে যেই শ্যামলীর  সামনে এসেছে দুজনে,তাদের শ্বাস বন্ধ হওয়ার  জোগাড়।একি! বাড়ির দাওয়ায় বেতের মোড়ার ওপর এ যে  স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসে!স্থান কাল সত্যি মিথ্যে ভুলে প্রশ্ন আর সন্দেহ সোজা ডাইভ মারে কবির পায়ে।  ‘স্যার স্যার… গুরুদেব…. একটা ইন্টারভিউ দিতেই  হবে বস্ … নইলে দুজনের চাকরি নিয়ে টানাটানি  পরে যাবে বেঘোরে …’ কোনও সাড়া না পেয়ে দুজন মুখ তুলে দেখে, দাঁড়ির ফাঁক দিয়ে মুচকি মুচকি হাসছেন তিনি।চোখ পড়তেই বললেন, ‘আরে ওঠ,ওঠ … আমি তো এখন তোদের নশ্বর  জগতে বাস করি না রে .. এখন এখানে লক না  আনলক কিসব চলছে তোদের সব দেখি কেমন  ফাঁকা ফাঁকা তাই দুদণ্ড নিজের বাড়ির দাওয়ায় বসে একটু জিড়িয়ে নিচ্ছিলাম .. আমার আবার  ইন্টারভিউ কি রে!’ প্রশ্নঃ বেশী সময় নেব না গুরুদেব .. এই এট্টু ছোট্ট করে আর কি …(তাঁর মুখে প্রশ্রয়ের হাসি, আর সময় নষ্ট না করে  সোজা প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ে দুই সাংবাদিক) সন্দেহঃ আচ্ছা স্যার, আপনি তো ব্রাহ্ম স্যার তাই তো? তাহলে এই গুরুদেব ব্যাপারটা কি স্যার? ব্রাহ্ম সমাজে তো গুরু থাকেন না .. মানে তাই তো জানি আর কি … রবীন্দ্রনাথ : আহা! এ আবার কেমন কথা।ব্রাহ্ম দের আচার্য হয় না…না কি।আমিও হলুম সেই আচার্য।আর এটা তো আশ্রম…ব্রহ্মচর্য আশ্রম…সেই  বৈদিক যুগের আদলে তা আশ্রম থাকবে আর  গুরুদেব থাকবে না তা কি করে হয় বল।আর আমাদের দেশের মানুষের ধরন ধারণ তো সব জানিসই – একটা অথারিটি না থাকলে কি চলে বল! এতোগুলো বছর পড়বে একটা অথারাইজড্  সার্টিফিকেট না থাকলে হয়?  তারপর আমি হলাম গিয়ে মহর্ষির উত্তরাধিকারী।বাবা যখন মহর্ষি – তখন আমি গুরুদেব… এটাই তো লজিক্যাল। তাই না? প্রঃ স্যার, আপনি তো নোবেল জয়ী, বিশ্বকবি। তারও আগে এই আপনি বললেন তখনকার সমাজের একটি গন্যমান্য পরিবারের…

Hello Human, How are You? – Editorial

Hello Human, how are you? Are you inside reality or are you travelling in a dream? Is the whole world transformed into a time machine and stuck in an irreversible nightmare? A nightmare where a microscopic organism designs the travel time and distance and the fuel measuring meter of the time machine always signals for…

বাংলার নদী-মাঠ-ভাঁটফুলের গল্প – সম্পাদকীয়

এই না শ্রাবণ মাসে ওইনা বিষ্টি আসে – কেমন করে থাকবো বলো আঁধার ঘেরা ঘরে, ভেসে গেল বেহুলা লখাই কালনাগিনীর তরে৷  বিষহরী মা মনসা ডাকি করজোড়ে। শ্রাবণ মাস, বাংলার ঝড়জলের মাস। এই শ্রাবণ-ভাদ্রেই বাংলার একেবারে নিজের লোকগাঁথা মনসামঙ্গলেরও মাস। সেই লোকগাথায় মিশে আছে এই বাংলা দেশের চিরকালীন সুখদুঃখের কাহিনী। আছে, স্বামীহারা এক স্ত্রীর বিচার পাওয়ার…

মাগো, আমি ইশকুল যাব কবে ? – সম্পাদকীয়

কাঁধে স্কুলব্যাগ ঝুলিয়ে, গলায় জলের বোতল ঝুলিয়ে কাঁদতে কাঁদতে প্রথম দিনের স্কুল। ভয়ে ভয়ে বেঞ্চিতে বসা। অচেনা সবাই আশেপাশে। তারপর দিদিমণি এলে, প্রেয়ার শুরু করে স্কুল। মোটামুটি আমাদের সবার স্কুলজীবনের শুরু খানিকটা এভাবেই।  কাট টু ২০২০। “বাবু, আজ তো প্রথম স্কুল, ওঠো ওঠো, জামা পরে নাও, আমি ল্যাপটপ টা চালিয়ে দিচ্ছি। লক্ষ্মী হয়ে বোসো।”এর উত্তরে…